মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিচিতি | সুযোগ-সুবিধা | স্টপেজ | টিকিটমূল্য
ট্রেন জার্নি! পছন্দ হোক বা না হোক জীবনে একটিবারের জন্য হলেও আমাদের সকলকে এই ট্রেন জার্নির মুখোমুখি হতে হয়।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ট্রেনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এসব ট্রেনের মাঝে বেশকিছু ট্রেন অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ঠিক তেমনই একটি ট্রেন হলো মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ আমরা আলোচনা করবো মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি, পরিচিতি, ইতিহাস, স্টপেজ এবং টিকিটমূল্য সম্পর্কে। তবে চলুন শুরু করা যাক।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি
শুরুতেই আমরা জানবো মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি সম্পর্কে। এই ট্রেনটি ট্রেন নং ৭২১/৭২২ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রেন। সার্ভিসের ধরণ হিসেবে এটিকে মূলত একটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবেও ধরে নেওয়া যায়।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রাপথ হিসেবে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যবহার করে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাদের জন্যই যারা ঢাকা টু চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা নিয়মিত যাতায়াত করেন।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ইতিহাস সম্পর্কে যদি বলি তবে বলব এটি সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছিল প্রায় ৩৬ বছর আগে অর্থ্যাৎ ৪ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তারিখে। ট্রেনটি যাত্রা পথে সর্বমোট ১২টি স্টপেজে থামে। এসব স্টপেজ সম্পর্কে আমরা আজকে আর্টিকেলে একটি অংশে আমরা সময়সুচি সহ বিস্তারিত আরোচনা করব।
বর্তমানে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কতৃপক্ষ। ট্রেনটির ভ্রমণ দুরত্ব সম্পর্কে যদি বলি তবে বলব এটি নিয়মিত ৩২০ কিলোমিটার বা ২০০ মাইল পথ অতিক্রম করে। যাত্রীরচাপসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কারণে সপ্তাহের একদিন অর্থ্যাৎ রবিবারে ট্রেনটির কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সপ্তাহের বাকি ৬ দিন যথাযথ ভাবে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এবার আসি এই জনপ্রিয় ট্রেনটির সিটের ব্যাপারে। টেনটির সকল সিটকে সর্বমোট ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হলো এসি, ননএসি, শোভন চেয়ার। আপনি যদি এসব সিটের টিকিটমূল্য সম্পর্কে জানতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের সাথেই থাকুন।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বেশকিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে এসব সুবিধার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো টেনটির সঠিক আসন বিন্যাস। এছাড়াও রয়েছে বিনোদনের সুবিধা, খাদ্য সুবিধা এবং ঘুমানোর জন্যে সঠিক ব্যবস্থা। বলে রাখা ভালো, ট্রেনটির ট্র্যাক গেজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মিটার গেজ।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সঠিক সময়সূচি সম্পর্কে। সুতরাং মিস করতে না চাইলে পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন:
- মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ১২:৩০ এবং তা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ১৯:১০ মিনিটে।
- আবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা শুরু করে ২১:২০ মিনিটে এবং তা পৌঁছায় ০৪: ৫০ মিনিটে।
মনে রাখবেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়সুচি পরিবর্তন যোগ্য। পরিবর্তিত সময় সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ
চলে এলাম আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে। যেখানে থাকবে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য।
- কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১২ঃ৫৬ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০৪ঃ১৪ মিনিটে
- ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৪ঃ০৫ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০৩ঃ০৩ মিনিটে
- নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৪ঃ৩৪ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০২ঃ৩৫ মিনিটে
- লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৪ঃ৫৩ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০২ঃ১৫ মিনিটে
- কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৫ঃ২০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০১ঃ৪৭ মিনিটে
- কসবা রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৫ঃ৫৬ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ৩৭ মিনিটে
- আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৬ঃ২০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ০৫ মিনিটে
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৬ঃ৪২ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ৩৩ মিনিটে
- আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৭ঃ০১ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ১৬ মিনিটে
- ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৭ঃ১০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ০৫ মিনিটে
- নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৭ঃ৪৫ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ২২ঃ৩২ মিনিটে
- বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাত্রাকালীন সময়ে থামে ১৮ঃ৩২ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ৪৭ মিনিটে
- হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি | পরিচিতি | স্টপেজ | সুবিধা | টিকিটমূল্য
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা
আর্টিকেলের এই অংশে আমারা জানব মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা সম্পর্কে :
- ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ
- এসি সিট উপভোগ করার সুবিধা
- সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট কাটার সুযোগ
- ট্রেনের ভেতরকার পরিবেশের শতভাগ নিরাপত্তা
- খাবার গ্রহণ এবং ঘুমানোর সুব্যবস্থা
- ময়মনসিংহ টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচি | পরিচিতি | ইতিহাস | সুবিধা | টিকিটমূল্য [২০২১]
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটমূল্য
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি, সময়সুচি কিংবা স্টপেজ সম্পর্কে তো জানলেন! এবার মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটমূল্য সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পালা।
- মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার সিটের টিকিটের দাম ২৬৫ টাকা
- মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রথম সিটের টিকিটের দাম ৪৮০ টাকা
- মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধা সিটের টিকিটের দাম ৬৭৫ টাকা
- মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিটের টিকিটের দাম ৮০৮ টাকা
ইতি কথা
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি সহ এই ট্রেনটি সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই। তবুও যদি কিছু জানার থাকে তবে তা কমেন্টবক্সে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ! যেকোনো ট্রেন ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। কোনোভাবেই কোনো ভ্রমনকে সারাজীবনের কান্নার কারণ হিসাবে দায়ী করা যাবে না। আজকের মতো এতোটুকুই। ভালো থাকবেন।