" " "
"
ট্রেনের সময়সূচী

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি | পরিচিতি | স্টপেজ | সুযোগ-সুবিধা | টিকিটমূল্য [২০২২]

বাংলাদেশের অনেকগুলি ট্রেনের মাঝে ট্রেন নং ৭৪৭/৭৪৮ এর সার্ভিসকেও কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করা যায় না। যারা নিয়মিত ট্রেনের সাহায্যে যাতায়াত করেন কিংবা করতে চান তাদের জন্য এই ট্রেন নং ৭৪৭/৭৪৮ অর্থ্যাৎ সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন হতে পারে পারফেক্ট চয়েজ। সাশ্রয়ী মূল্যের সিট কিনে ট্রেনের অভ্যান্তরীণ অন্যান্য সুযোগ-সু্বিধা উপভোগ করার এই প্ল্যাটফর্ম কেই বা হাতছাড়া করতে চাই। চলুন তবে আজ এই সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক ট্রেনটির সময়সূচি, পরিচিতি, নির্ধারণ করা স্টপেজ, সুযোগ-সুবিধাসহ সঠিক টিকিটমূল্য! 

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে একজন সচেতন যাত্রী হিসেবে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। একজন যাত্রী হিসেবে আপনার এই সচেতনতাকে নিশ্চিত করতে আলোচনার এই অংশে আমরা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করবো। সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন। 

" " "
"

মূলত খুলনা থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত যাতায়াত করা যাত্রীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা দিয়ে আসছে এই সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বলে রাখা ভালো সিরিয়ালের দিক দিয়ে ট্রেনটি বাংলাদেশের ৭৪৭/৭৪৮ নং ট্রেন। এক্ষেত্রে ৭৪৭ নং ট্রেন হিসেবে ট্রেনটির খুলনা থেকে চিলাহাটি যাত্রাপথকে ধরে নেওয়া হয়। অন্যদিকে ৭৪৮ নং ট্রেন হিসেবে ট্রেনটির চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রাপথকে ধরে নেওয়া হয়। 

বর্তমানে সার্ভিসের ধরণ হিসেবে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস দেওয়া যানের ভুমিকা পালন করে আসছে। যার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ। এই ট্রেনটি নিয়মিত ৪৪৬ কিলোমিটার বা ২৭৭ মাইল পথ অতিক্রম করে থাকে। যার যাত্রাপথ শুরু হয় খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এবং তা শেষ হয় একেবারে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে। 

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে কেনো আপনার যাতায়াত করা উচিত…সে সম্পর্কে যদি বলি তবে বলবো এর বাড়তি সুবিধা ভোগ করা সুযোগের কথা। কেননা এই ট্রেনটি প্রতিটি সাধারণ থেকে ভিআইপি যাত্রীদের বাড়তি টেক কেয়ারের ক্ষেত্রে কোনোরূপ কম্প্রোমাইজ করে না। যার প্রমাণ হিসেবে আসন বিন্যাস, ঘুমানোর ব্যবস্থা, খাদ্য সুবিধা এবং বিনোদন সুবিধার দিকে লক্ষ্য করলেই নিশ্চিত হওয়া যায়। 

ট্রেনটির কারিগরি দিক নিয়ে যদি আলোচনা করি তবে শুরুতে বলবো এর ট্র্যাক গেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ব্রডগেজ। ও হ্যাঁ! আরো একটি ব্যাপার জানিয়ে রাখা উচিত। বর্তমানে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যে সময়সূচি রয়েছে সেই সময়সূচিটি কিন্তু নির্ধারিত সময়সূচি ৫২ তম ভার্সন। অর্থ্যাৎ পরিবর্তন করতে করতে প্রায় ৫২ বার পরিবর্তন করবার পরই বর্তমানের নির্ধারিত সময়টিকে নির্বাচিত করা হয়েছে। 

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ 

প্রতিটি ট্রেনেরই আলাদা আলাদা স্টপেজ রয়েছে। যা ট্রেনের যাত্রীদের লোকাল বাসের মতো সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এক্ষেত্রে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনও ব্যাতিক্রম নয়। সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন যেহেতু খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সার্ভিস দিয়ে থাকে সেহেতু এই যাত্রাপথে বেশকিছু স্টপেজ সিলেক্ট করে রাখা হয়েছে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ সম্পর্কে। 

  • দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ২৫ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০৩ঃ৫০ মিনিটে
  • নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ৪৯ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০৩ঃ২৩ মিনিটে 
  • যশোর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২২ঃ২০ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০২ঃ৫১ মিনিটে
  • কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২২ঃ৫৯ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০২ঃ১০ মিনিটে 
  • দর্শনা রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ২৬ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০১ঃ৪৩ মিনিটে
  • চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ৫৩ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০১ঃ২১ মিনিটে
  • পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ৩১ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ৪৭ মিনিটে
  • ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ৫২ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ০০ঃ২৬ মিনিটে
  • ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০১ঃ২০ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ৪৫ মিনিটে
  • নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০১ঃ৫৫ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২৩ঃ০০ মিনিটে
  • সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০২ঃ৫০ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২২ঃ১৫ মিনিটে
  • আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৩ঃ১৫ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ৫৩ মিনিটে
  • জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৩ঃ৩১ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ৩৫ মিনিটে
  • বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৪ঃ০৩ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২১ঃ০২ মিনিটে
  • ফুলবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৪ঃ১৭ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২০ঃ৪৮ মিনিটে
  • পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৪ঃ৪৫ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ২০ঃ১০ মিনিটে 
  • সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৫ঃ১৫ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ১৯ঃ৪১ মিনিটে 
  • নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৫ঃ৩৭ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ১৯ঃ১৯ মিনিটে 
  • ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাকালীন সময়ে থামে ০৫ঃ৫৩ মিনিটে এবং চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে আসাকালীন সময়ে থামে ১৯ঃ০২ মিনিটে

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি 

  • সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা টু চিলাহাটি যাত্রা শুরু করে ২১ঃ১৫ মিনিটে এবং তা শেষ হয় ০৬ঃ২০ মিনিটে
  • সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের চিলাহাটি টু খুলনা ১৮ঃ৪৫ মিনিটে এবং তা শেষ হয় ০৪ঃ১০ মিনিটে

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সুযোগ-সুবিধা 

  • সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট কেনার সুযোগ
  • অনলাইনে টিকিট কেনার সুবিধা 
  • পারফেক্ট খাদ্য সুবিধা উপভোগ করা
  • ঘুমানোর জন্যে থাকা সু-ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে
  • সর্বোচ্চ মানসম্মত সেবা দেওয়ার রীতি

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটমূল্য 

  • শোভন চেয়ার সিট ১৭০ টাকা
  • স্নিগ্ধা সিট ৯৬৬ টাকা
  • এসি সিট সিট ৫৬৪ টাকা
  • এসি বার্থ সিট ৮২৩ টাকা

ইতি কথা

সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে তো জানলেন! আশা করি এর সময়সূচি এবং টিকিটমূল্য সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। সুতরাং ব্যাটে-বলে অর্থ্যাৎ সময় এবং টিকিটমূল্য মিলে গেলে আশা করি এই ট্রেনটি হতে পারে আপনার নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আজকের মতো এতোটুকুই! হ্যাপি ট্রেন জার্নি! 

" " "
"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *