" " জেনে নিন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি | পরিচিতি | ইতিহাস | স্টপেজ এবং টিকিটমূল্য!
" " "
"
ট্রেনের সময়সূচী

জেনে নিন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি | পরিচিতি | ইতিহাস | স্টপেজ এবং টিকিটমূল্য!

" " "
"

বেশ ইউনিক এবং অর্থবহ নামের এই ট্রেনটি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিসের অংশ হয়ে উঠেছে। বলছিলাম পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কথা। হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে ট্রেনটির নাম শুনেছেন কিংবা কিছু কিছু তথ্য জানেন। তবে এই ট্রেনের সার্ভিস গ্রহণের উদ্দেশ্যে আপনাকে অবশ্যই এর বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এই যেমন ধরুন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি, সুযোগ-সুবিধা, টিকিটমূল্যসহ অন্যান্য তথ্য। চলুন তবে আর দেরি না করে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কিত সকল তথ্য এক আর্টিকেলের মাধ্যমেই জেনে নেওয়া যাক। 

" " "
"

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি

ট্রেনটির সার্ভিস গ্রহণের পূর্বে কিংবা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে জানার পূর্বে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মূলত এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয় ১৬ মে ১৯৮৬ তারিখে। যা হিসাব করলে দেখা যাবে ট্রেনটি প্রায় ৩৬ বছর আগে তার এই সার্ভিস যাত্রাটি শুরু করেছিলো। 

" " "
"

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩৭৭ কিলোমিটার বা ২৩৪ মাইল ট্রেন রুট অতিক্রম করে থাকে। পথিমধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে স্টপেজ সেশন হিসাবে বিভিন্ন যাত্রী ওঠা-নামার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ট্রেনটিতে সিট সুবিধা হিসাবে রয়েছে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার এবং এসি কেবিন সিট উপভোগের সুযোগ। 

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হলেও সপ্তাহের ২ দিন ২ রুটে ট্রেনটি তার কার্যক্রম অফ রাখে। বর্তমানে যে সময়সূচি ফলো করে আপনারা এর সার্ভিস উপভোগ করতে চাচ্ছেন সেই সময়সূচিটিকে মূলত ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। বলে রাখা ভালো আজ আমরা আপনাদের সাথে যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করবো তা ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ হতে কার্যকর হয়েছে। সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন। 

" " "
"

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম

এবারে চলুন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই ট্রেনটির মূল কার্যক্রম হলো সিলেট টু চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম টু সিলেট রুটে সার্ভিস দেওয়া। সপ্তাহে এক রুটের জন্যে এক দিন করে এর কার্যক্রম অফ রাখা হয়েছে। যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে চোখ রাখতে হবে আমাদের আজকের আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে অর্থ্যাৎ পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বন্ধের দিন” শীর্ষক অংশে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষের কাছে এই ট্রেনটি ৭১৯/৭২০ নং ট্রেন হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ৭১৯ নাম্বার ট্রেন হলো চট্টগ্রাম টু সিলেট রুটে পরিচালিত পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যবহৃত যাত্রীবাহী ট্রেন! অন্যদিকে ৭২০ নাম্বার ট্রেন হলো সিলেট টু চট্টগ্রাম রুটে পরিচালিত যাত্রীবাহী ট্রেন। 

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকেশন

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনকে দেখাশোনা করার দায়িত্বটি বর্তমানে সিলেট ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পরিচালনা করে আসছে। যাই হোক! লোকেশনের দিক দিয়ে ট্রেনটির লোকেশন হিসাবে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের নাম বলা যায়। কারণ এখান থেকেই ট্রেনটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। 

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ এবং সময়সূচি

যারা ট্রেন ভ্রমণে আগ্রহী তাদের উচিত ট্রেনের বিভিন্ন স্টপেজের ঠিকানা এবং সময়সূচি সম্পর্কিত তথ্য জেনে রাখা। আর্টিকেলের এই অংশে চলুন আমরা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ এবং তার সময়সূচি সম্পর্কে জানার চার করি। বিস্তারিত জানতে নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন: 

ফেনী স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১০ঃ৩১ মিনিটে এবং সিলেট থেকে ফেরার সময় ১৭ঃ৫০ মিনিটে

" " "
"

নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১১ঃ০৪ মিনিটে এবং সিলেট থেকে ফেরার সময় ১৭ঃ২১ মিনিটে

লাকসাম স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১১ঃ২৫ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৭ঃ০০ মিনিটে

কুমিল্লা স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১২ঃ০৫ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৬ঃ৩২ মিনিটে

কসবা স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১২ঃ৪৭ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৫ঃ৪২ মিনিটে

আখাউড়া স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৩ঃ২০ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৫ঃ১০ মিনিটে 

হরষপুর স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৩ঃ৫৫ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৪ঃ১৯ মিনিটে

নোয়াপাড়া স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৪ঃ১৯ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৩ঃ৪০ মিনিটে 

শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৪ঃ৪৫ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১৩ঃ১২ মিনিটে

শ্রীমঙ্গল স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৫ঃ২৬ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১২ঃ২৯ মিনিটে 

ভানুগাছ স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৫ঃ৪৯ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১২ঃ০২ মিনিটে

শমসের নগর স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৬ঃ০০ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১১ঃ৫৫ মিনিটে

কুলাউড়া স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৬ঃ২৬ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১১ঃ২৪ মিনিটে

বরমচাল স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৬ঃ৪২ মিনিটে এবং সিলেট থেকে আসার সময় ট্রেনটি এই স্টেশন থামে না

মাইজগাঁও স্টেশনে থামে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় ১৭ঃ০৮ মিনিটে এবং সিলেট থেকে থামে ১০ঃ৫৩ মিনিটে

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট

বাংলাদেশের যেকোনো ট্রেনে বাজেট অনুযায়ী সিট কোয়ালিটি পছন্দ করে তা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি চান পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট ক্যাটাগরি অনুযায়ী পছন্দের সিটটি উপভোগ করতে পারেন। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কালেকশনে ঠিক কোন কোন ক্যাটাগরির সিট রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সকল ট্রেনে সবধরনের ক্যাটাগরির সিট থাকে না সেহেতু শুধুমাত্র পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কি কি সিট রয়েছে তা জানা প্রয়োজন। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট ক্যাটাগরি হলো: 

  • শোভন চেয়ার সিট
  • স্নিগ্ধা সিট
  • এসি সিট
  • এসি বার্থ সিট

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট: পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া 

যারা সাশ্রয়ী মূল্যে ট্রেন ভ্রমণ করতে চান তারা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনে এই ট্রেনটির সার্ভিস উপভোগ করতে পারেন। তাছাড়া ১৫% ভ্যাটসহ নির্ধারিত এই এমাউন্ট অনেকের কাছেই সাশ্রয়ী এমাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া যাদের বাড়তি প্যারা সহ্য করার ইচ্ছা নাই তারা চাইলে ঘরে বসেই টিকিট কালেক্ট করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অনলাইন টিকিট বায়িং এজেন্সিগুলির সাহায্য নিতে পারেন। চলুন এবারে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট প্রাইজ বা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক: 

  • শোভন চেয়ার সিটের দাম ৫০৫ টাকা
  • স্নিগ্ধা সিটের দাম ৯৬৬ টাকা
  • এসি সিটের দাম ১১৫৬ টাকা
  • এসি বার্থ সিটের দাম ১৭৮১  টাকা

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম টু সিলেট রুটে ৯.০০ মিনিট থেকে এবং সেই যাত্রা শেষ হয় ৫.৫০ মিনিটের দিকে। অন্যদিকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিলেট টু চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী পরিবহন মিশন শুরু হয় ১০.১৫ মিনিটে এবং তা শেষ হয় ১৯.০৫ মিনিটে। 

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বন্ধের দিন

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম চট্টগ্রাম টু সিলেট রুটে সোমবারে অফ থাকে। পাশাপাশি সিলেট টু চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনিটর কার্যক্রম শনিবারে অফ থাকে। মূল কথা হলো পালা করে এই ট্রেনের কার্যক্রম সপ্তাহের ২ দিন অর্থ্যাৎ শনিবার ও সোমবারে অফ রাখা হয়। 

ইতি কথা

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিস্তারিত সকল তথ্য একসাথে রাখার চেষ্টা করেছি। যারা ট্রেন ভ্রমণকে আরো নিরাপদ করতে চান তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেরাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টা করবেন। তাছাড়া ট্রেন কতৃপক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ব্যাপারটি তো থাকছেই! যেহেতু পাহাড়িকা এক্সপ্রেস একটি আরামদায়ক ট্রেন সেহেতু আশা করি আপনার পরবর্তী ট্রেন ভ্রমণ হয়ে উঠবে সময়ের সেরা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা! আজকের মতো ট্রেন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা এতোটুকুই। ভালো থাকুন। 

" " "
"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

" " "
"